বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছুই যখন স্থবিরভাবে চলছে, নতুন করোনা ভেরিয়েন্টে সবাই যখন আতঙ্কিত ঠিক সেই মুহূর্তে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন ছিল বারাকা অ্যাপারেলের।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে বাঙালিরা মিলিত হয়েছিল উৎসব সুইটস রেস্টুরেন্টে বারাকা অ্যাপারেলের আমন্ত্রণে।
কানাডায় সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে নতুন করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
কানাডাবাসী যতটা পারছেন মেনে চলছেন নিয়ম-কানুন আর সামাজিক দূরত্ব। তবে সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধ, সামাজিক দূরত্ব আর ঘরে বসে থাকলেও বাঙালির চিরাচরিত পহেলা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতরের উৎসব যেন মনের গহীনে ধাবিতমান।
বাইরে বের হয়ে পহেলা বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটার ভিন্ন আমেজ তৈরি করতেই বারাকা অ্যাপায়েরল আয়োজন করেছিল এই ব্যতিক্রমী দিনব্যাপী আয়োজনের।
আয়োজনে ছিল বাহারি রকমের শাড়িসহ নারীদের সাজগোজের নানা রকমের সরঞ্জাম আর পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি। সব মিলিয়ে এক অন্যরকম মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল এই আয়োজন।
করোনাকালে এই সময়টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও প্রাণের আনন্দে মেতে ছিল প্রবাসী বাঙালিরা। ভালোবাসার রং, আড্ডার রং, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য আর ভালোবাসা বিনিময়ে ছিল তৎপর। প্রমাণ মিলেছে প্রবাসী বাঙালিদের পিছিয়ে না থাকার। অনেকের আগমনে ঘটেছিল ভিন্ন মাত্রা।
বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি মো. রশিদ রিপন জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেকেই এসেছেন, কেনাকাটা করেছেন নিজেদের পছন্দমতো। শুধু তাই-ই নয়, বাড়তি আনন্দ ছিল প্রবাসীদের একত্রিত হবার।
ক্যালগেরির ‘বারাকা অ্যাপারেল’এর স্বত্বাধিকারী আরিফা রব্বানি জানান, বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সবার এই স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় আমি সত্যিই বিমোহিত। অনেকের সাথেই প্রায় এক বছর পর দেখা হয়েছে, বেচাকেনার চাইতেও এটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যারা এসেছেন এবং যারা আসতে পারেননি সকলের জন্য শুভ কামনা। আগামীতে দেখা হবে অন্যকোনো মিলনমেলায়।
বৈশ্বিক মহামারি খুব দ্রুত কমে যাবে, সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে, এমনটাই প্রত্যাশা কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।